স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে সাবধানে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিস্টিটিউট মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত চলমান রাজনৈতি বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচ টি ইমামকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন সুরঞ্জিত।

সুরঞ্জিত বলেছেন, কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলতে হবে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এতে সকলেরই পরীক্ষা দেওয়ার সমান সুযোগ আছে। এটা নিয়ে কথা বলতে একটু সতর্ক হতে হবে আমাদের।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় দলটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এইচ টি ইমাম বলেন, লিখিত পরীক্ষা ভালো কর, এরপর ভাইভাতে আমরা দেখব। প্রয়োজনে আমি ক্লাস নেব।

এ সময় ছাত্রলীগ থেকে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়া কর্মকর্তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন এইচ টি ইমাম।

ওই বক্তব্যের জবাবে সুরঞ্জিত বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিজয় কোনো বাহিনীর ক্রেডিট নয়। এটা মানুষের ক্রেডিট। জনসমর্থনের উপর ভিত্তি করে সরকার ক্ষমতায়। আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি বলে আমাদের এ অবস্থা। পুলিশ বাহিনীকে বিভাজন করা যাবে না। পুলিশ রাষ্ট্রের, সকলের।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কিছুই না পেয়ে এখন ঢাল-তলোয়ার ধরেছেন বলেও মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, আমন্ত্রণ জানাব ঢাল-তলোয়ার ছেড়ে জনসমর্থন নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করুন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আগামীতে তীর-ধনুক নিয়েও নামেন। তবে ঢাল নেবেন কেন? আপনাকে তো কেউ বাধা দিচ্ছে না।যতই দিন যাচ্ছে ততই বিএনপি জনসমর্থন হারাচ্ছে।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, খালেদা যেভাবে আগাচ্ছেন, উনার আন্দোলনে নামার চেয়ে মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন বেশি। যতই দিন যাচ্ছে বিএনপির হতাশা বাড়ছে। সরকারে জনসমর্থন বাড়ছে।

যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। সব দেশের রাষ্ট্রদূতদের বোঝাতে হবে এরা সাধারণ খুনী বা অপারাধী নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধী। এদের আপনাদের দেশে রাখতে পারেন না।

(ওএস/অ/নভেম্বর ১৪, ২০১৪)