ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ছেলেকে মারধর করতে দেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন মা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এমনই ঘটনা ঘটে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নুরুল্লাপুর গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে লিমন সরদারকে (২২) সাত হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন একই এলাকার ওয়াশিম সরদারের ছেলে রন্টু সরদার। এ টাকা দীর্ঘদিন ফেরত না দেওয়ায় রন্টু সরদার লিমনের বড় ভাই সুমন সরদারকে (২৫) বিষয়টি জানান। সে সময় সুমন সরদার টাকা পরিশোধের জন্য দুই মাসের সময় চেয়ে নেন। এক সপ্তাহ আগে টাকা পরিশোধের সময় শেষ হলেও তা না দেওয়ায় নুরুল্লাপুর গ্রামের কুতুবের মোড় এলাকায় সুমনের কাছে টাকা চান রন্টু।

এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সুমনের মা সেলিনা খাতুন (৪৭)। ছেলেকে মারধর করতে দেখে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নুরুল্লাপুর গ্রামের মিঠুন হোসেন বলেন, ‘দুজনের মারামারি দেখে আমাদের প্রতিবেশী চাচি সেলিনা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।’

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে মারতে দেখে সেলিনা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

(এসকেকে/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪)