স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মধ্যে একজনের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। তিনি মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান।

শুক্রবার (১ মার্চ) তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা ও বোন বার বার মূর্ছা যাচ্ছে। মেহেদী হাসানের অকাল মৃত্যু এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছে না। ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায় বাবা আয়নাল মিয়া।

বোন সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমার ভাই গতকাল ফোন দিয়ে বলছে তুমি বাবার বাড়ি যাও আমি আসবো, আমার সেই ভাই আর এলো না। আমার ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি করতো। আমার ভাইয়ের আয় দিয়ে সংসার চলতো, মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়তো। আজকে আসার কথা ছিল আর আসলো না আমার ভাই।

বাবা আয়নাল মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে হারিয়ে সব শেষ হয়ে গেল। আমার পোলাডা মইরা গেল, আমার আর কিছুই রইলো না।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, মেহেদীর পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন সবসময় থাকবে। এই পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।

(এসএম/এসপি/মার্চ ০১, ২০২৪)