স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য পরিবহন, সংরক্ষণ ও গুনগত মান বজায় রেখে স্বল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে আধুনিক ও মানসম্মত লজিস্টিক ব্যবস্থা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন এখাতে উদ্যোক্তারা। 

২ মার্চ মতিঝিলে চেম্বার ভবনে এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লজিস্টিকস, কুরিয়ার সার্ভিস এবং ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং এর সভায় উদ্যোক্তারা এ সব কথা বলেন।

সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের দক্ষ লজিস্টিকস, কুরিয়ার সার্ভিস ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ড খাতের উন্নয়ন করতেই হবে। নতুবা আমরা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাব। শিল্প নীতির আলোকে ২১ টি উপখাতে সমান ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

লজিস্টিক খাতের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে যথাযথ আইন ও বিধি-বিধান মেনে এবং স্বচ্ছতার সাথে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।

কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়ক ও রেল যোগাযোগের বিস্তৃতি, স্থল, নৌ, সমুদ্র ও বিমানবন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের ফলে লজিস্টিক খাতের প্রাথমিক অবকাঠামোগত সক্ষমতা অর্জিত হচ্ছে। তবে, বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ এর প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২১ সালের তুলনায় ২০৪১ সালে বিভিন্ন নির্দেশক যেমন প্যাসেঞ্জার ট্রাফিক ২৯ গুন, ফ্রেইট ট্রাফিক ১০ গুন, পোর্ট কন্টেইনার ট্রাফিক ১৩ গুন, সমুদ্রগামী কার্গো ট্রাফিক ২২ গুন বৃদ্ধি পাবে। তাই লজিস্টিক খাতের উন্নয়নে এখনই সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কুরিয়ার সার্ভিসেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি হাফিজুর রহমান পুলক বলেন, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মিরপুরসহ দেশের বেশকিছু স্থানে হাব তৈরি করা গেলে লজিস্টিক, কুরিয়ার সার্ভিস এবং ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং খাতের গাড়িগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাখা যাবে এবং কম সময়ে পণ্য পরিবহনে সহায়ক হবে।

উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে উদ্যোক্তারা বলেন, লজিস্টিক খাত সরবরাহ শৃঙ্খলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌছে দিয়ল

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, ইসহাকুল ইসলাম সুইট, মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৩, ২০২৪)