রাজন্য রুহানি, জামালপুর : দেশবরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক হারুন হাবীব বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ধারাবাহিক সরকার দেশের সকল সূচকে বিস্ময়কর উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাস পুনরুদ্ধার করে ঐতিহাসিক জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেমন বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ করেছেন তেমনি পরবর্তী সময়ে দেশগঠনেও তাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। সরকার তাদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্নভাবে সম্মানিত করেছেন। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিগত ১০ বছর থেকে সরকারি আমলার অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে যা মঙ্গলজনক নয় এবং দুঃখজনকও।

২০১৪ সাল থেকে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোনো নির্বাচন নেই। তখন থেকে সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনটি সরকারি আমলাদ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।

বিগত বছরে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের নির্বাচন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তফসিল ঘোষণা করলেও শেষ পর্যন্ত তা আবারও স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে, এখন উচিত যত দ্রুতসম্ভব মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে নির্বাচিত সংসদে পরিণত করা। যাতে করে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নিজেরাই তাদের সংসদের কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. তারিকুজ্জামান তারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব।

মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাদের, আব্দুস সামাদ, মো. হাসমত আলী, আহসান হাবিব, মো, আব্দুল খালেক, বপ্রফুল্ল চন্দ্র রায়, নুর মোহাম্মদ নুরু, আহসানুল করিম, আব্দুর রাজ্জাক, মো. হোসেন আলী, মো. বদিউজ্জামান, হযরত আলী প্রমুখ।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র ও জয়বাংলা পত্রিকার রণাঙ্গন সাংবাদিক হারুন হাবীব আরও বলেন, তিনি দেওয়ানগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে একটি ছোট আকারের আঞ্চলিক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে তুলবেন। এতে তাঁর তোলা ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধের ছবিসহ বহুবিধ স্মারক ও বইপুস্তক প্রদর্শিত হবে। এসব স্মারক মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াতে সক্ষম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

(আরআর/এসপি/মার্চ ০৫, ২০২৪)