নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা শহরের লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে  পিতা-পুত্র  গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘংঘর্ষের সময় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- রাজুপুর গ্ৰামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুর শেখ ও হিরু শেখের ছেলে হামীম শেখ। আটককৃত দুজনই উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের নেতা।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন-লোহাগড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কচুবাড়িয়া গ্রামের নিরু ঠাকুরের ছেলে হুমায়ুন ঠাকুর ( ৪৮) ও তার পুত্র আব্দুল্লাহ ঠাকুর ওরফে শিপলা (২৪)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে গত ৩ দিন আগে একজন ভ্যান চালকের সাথে কথা কাটি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজাপুর গ্ৰামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুরের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একদল দূর্বৃত্ত ছ্যান দা, লাঠি, রামদা নিয়ে লক্ষীপাশা ঢাকা কাউন্টার এলাকায় এসে আবদুল্লাহ ঠাকুর শিপলা ও রুমানকে মারধোর করে।

পরে দু'পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর লোহাগড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্হলে পৌঁছায়। এ সময় দূর্বৃত্তরা
হুমায়ুন ঠাকুরকে কুপিয়ে গুরুতর
জখম করে প্রতিপক্ষরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্হানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১১ টার দিকে গুরুতর আহত হুমায়ূন ঠাকুর ও আব্দুল্লাহ ঠাকুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন রায় বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

(আরএম/এএস/মার্চ ০৬, ২০২৪)