রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর উপজেলার সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে নাগরিক মঞ্চ।

আজ শনিবার সকালে গাইবান্ধা জেলা শহরের নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচিতে সর্ব শ্রেণী পেশার কয়েকশত মানুষ এতে অংশ নেয়।

নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাজহারউল মান্নান, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, সদস্য সচিব মোরশেদ হাসান দীপন, সদর উপজেলা আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, সাঁকোয়া ব্রিজ সংলগ্ন ইপিজেড বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এ্যাড.ফারুক কবির, সদস্য সচিব এ্যাড. কুশলাশিস চক্রবর্তী, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, জাতীয় শ্রমিক জোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বাবু, ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান, নারী নেত্রী মিনু আক্তার, রবিদাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আলম, জাসদ ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি রোকনুদ্দৌলা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে গাইবান্ধা বরাবরই বঞ্চিত থেকেছে। গাইবান্ধা শহর একটি পকেট শহরে পরিণত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা শহরের তুলনায় গাইবান্ধা উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়া একটি জেলা। গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হক পলাশবাড়ীর সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছিলেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবটি ছিল গাইবান্ধার সকল মহলের সর্বজনীন প্রস্তাবনা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সেই প্রস্তাবকে ধামাচাপা দিয়ে একটি কুচক্রী মহল গাইবান্ধা জেলার শেষ প্রান্তে দিনাজপুর-জয়পুরহাট সংলগ্ন বিতর্কিত তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড করার চক্রান্তে লিপ্ত। সাঁকোয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ইপিজেড হলে রাজপথ, রেলপথ, নৌপথ ও হেলিপ্যাডের বিদ্যমান সুবিধা পাওয়া যাবে। তদুপরি তিন ফসলি জমিতে কোনো স্থাপনা করা যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রয়েছে। সবমিলিয়ে সাঁকোয়া এলাকা ইপিজেড বাস্তবায়নের উপযোগী।

এছাড়াও গাইবান্ধায় মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ব্রহ্মপুত্র টানেল নির্মাণ, শহরের যানজট নিরসন ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়নের দাবি জানান বক্তারা।

(আরআই/এসপি/মার্চ ০৯, ২০২৪)