স্টাফ রিপোর্টার : গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অধিকার সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম কূটনৈতিক সম্মেলন। সম্মেলনে তারা বলেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ও জাতীয় ঐকমত্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

শনিবার দুপুরে দুই দিনের এ সম্মেলনের অর্জন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্মেলনের সমন্বয়কারী এবং সঞ্চালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহম্মেদ। এসময় তিনি সম্মেলনে গৃহীত ‘নয় দফা ঢাকা ঘোষণা’ পাঠ করেন।

ঘোষণায় বলা হয়, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ও জাতীয় ঐকমত্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার যে অভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে এটাকে অনুমোদন করেছে এ সম্মেলন। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার স্বার্থ ও লক্ষ্য বিনিময় করা হয়েছে। দুই দেশের বিদ্যামান সর্ম্পকে উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যা পরস্পরের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে হবে। উভয় দেশ উভয় দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং যে অধিকার তা সংরক্ষণ করবে। এবং এটা হবে দুই দেশের জনগণের জন্য।

দুই দেশের বাণিজ্য সম্পসারণে শুল্কমুক্ত পণ্য সরবরাহ। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বোঝাপড়া। নিজ নিজ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আঞ্চলিক সংগঠন সার্ক ও বিমসটেক এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শুক্র ও শনিবার এ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার সাবেক হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এর দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ভারতে ২০১৬ সালে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৫, ২০১৪)