ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ১ লক্ষা টাকা যৌতুক না পেয়ে অন্ত:সত্তা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে ফাসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচার চালিয়ে রক্ষা পেলনা ঘাতক স্বামী, শ্বশুড় ও শাশুড়ী। এ ঘটনাটি ঘটেছে (১৪ নভেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, তারাকান্দা উপজেলার তিলাটিয়া খান পাড়া গ্রামের ফিরোজ খানের মেয়ে নাসরিন আক্তার (১৯) এর সাথে গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২৩) এর সাথে ১১ মাস পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই পাষান্ড স্বামী,শ্বশুড়,শ্বাশুড়ী ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য গৃহবধূ নাসরিন আক্তারকে চাপ দেয় এবং শারিরিক নির্যাতন চালাতে থাকে।

নাসরিনের পিতা সম্প্রতি জামাতা সোহেল রানাকে ২০ হাজার টাকা যৌতুক বাবদ দেয়। তাতেও যৌতুক লোভী স্বামী, শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ী খান্ত হয়নি। অবশেষে (১৪ নভেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্ত:সত্তা নাসরিনকে পিটিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর চতুর স্বামী সোহেল, শ্বাশুড় হেলাল ও শ্বাশুড়ী হালিমা মিলে পড়নের কাপড় দিয়ে গলায় ফাসি দিয়ে ঘরের ধরনায় ঝুলিয়ে রাখে। স্বামী সোহেল তার শ্বশুড় ফিরোজ খান কে খবর পাঠায় যে, তাঁর মেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে, দেখতে চাইলে তাড়াতাড়ি আসতে। খবর পেয়ে ফিরোজ খান ও তার ভাইদের নিয়ে ঘটনা স্থল জামাতার বাড়ীতে এসে তাঁর মেয়ের শরীলে প্রহারের চিহ্ন দেখে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানায়, সন্ধ্যায় তার মেয়ে নাসরিনকে বেধরক পিটিয়েছে। তার কিছুক্ষন পর সোহেল ও তার পরিবার ডাক চিৎকার শুরু করে নাসরিন ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী সোহেল ও শ্বাশুড়ী হালিমা (৪৫) কে আটক করে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পর দিন সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে নাসরিনের পিতা বাদী হয়ে গৌরীপর থানায় একটি মামলা দয়ের করে মামলা নং-৯ তাং ১৫.১১.১৪ইং।

(এসআইএম/পি/নভেম্বর ১৫, ২০১৪)