হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শংকরসেনা গ্রামে মৃত্যুর ৫২ দিন পর কবর থেকে ৫ সন্তানের জনক মোহাম্মদ আলীর (৫২) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ১ম স্ত্রীর মামলায় আদালতের নির্দেশে শুক্রবার লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শংকরসেনা গ্রামের মৃত ইমতাজ আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী দু’টি বিয়ে করেন। ১ম স্ত্রী নুরমতি বেগম তার ৩ সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। মোহাম্মদ আলী ২য় বিয়ে করেন বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্রামে। ২য় স্ত্রী রোকেয়া বেগমের গর্ভে তার ২টি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত ২য় স্ত্রীর বাড়িতে মোহাম্মদ আলী মারা যান। এ খবর পেয়ে ১ম স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে রশিদপুর থেকে নবীগঞ্জের শংকরসেনা গ্রামে এনে লাশ দাফন করেন। গত ২ অক্টোবর তিনি হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন রোকেয়া বেগম ও তার লোকেরা মোহাম্মদ আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আদেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামিলের উপস্থিতিতে শংকরসেনা গ্রামের কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।

(পিডিএস/পি/নভেম্বর ১৫, ২০১৪)