বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে ব্যাংক লুটের ঘটনায় বুধবার ওয়েলডিং কারখানার মালিক ও শিশু শ্রমিকসহ আরও ৮ জনকে আটক করে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।

আটকরা হলো- আদামীঘির ফার্নিচার দোকানের সত্ত্বাধিকারী দাবিদার আশরাফুল ইসলাম(৩৭), শ্রমিক মো. শাহীন(২৬), ফার্নিচার দোকানের শ্রমিক(২৩), শফিকুল(২৮) ব্যাংকের নিরাপত্ত্বা রক্ষী মো. মিলন(২৪), শ্রী পূণ্যদেব(২২), রুহুল আমিন(৩০) ও নজরুল ইসলাম(৩২)।

বুধবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও লুট হওয়া টাকা উদ্ধারে যে পন্থাই অবলম্বন করতে হয়, তা তিনি করবেন।

এদিকে, শিশু শ্রমিক আটকের ঘটনায় উপজেলার প্রায় ২ শত ওয়েল্ডিং কারখানা সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কে থাকলেও ঘাবরানোর কিছু নেই উল্লেখ করে ওসি বলেন, যারা অপরাধ করেনি, তাদের উপর কোন ধরনের অন্যায় আচরণ করবে না পুলিশ। তবে দেশ ও জাতির স্বার্থে সমাজের অনেক শ্রেণী পেশার মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রয়োজন হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যাংকের সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হাসান ইকবাল, রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক(জিএম) কে.এম. আফজাল হোসেন, বগুড়ার ডিজিএম আব্দুস সামাদ, আদমদিঘী শাখার ব্যাপস্থাপক শামছুদ্দিন শরীফ ও ক্যাশিয়ার আজাহার আলীসহ ৬ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।

একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও প্রধান নির্বাহী প্রদীপ কুমার দত্তকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নোটিশে আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৮ মার্চ(শুক্রবার) বিকেলে জেলার আদমদীঘি সোনালী ব্যাংক শাখায় সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙ্গে নগদ ৩২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

(ওএস/এইচআর/মার্চ ১৩, ২০১৪)