কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অনলাইনে টি-শার্ট ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় ৭টি দোকানসহ কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মারাত্মক আহত হয়েছেন ৪ জন।

আহতরা হলেন- জয়পাশা গ্রামের সৈয়দ আশিক (২৩), ফয়সাল কাজী (২২), সৈয়দ সেলিম (৩২) ও সৈয়দ ওলিয়ার রহমান (৫০)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে উভয়পক্ষের ৭ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের জয়পাশা গ্রামের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার গ্রুপের জলিল কাজীর ছেলে জুয়েল কাজীর (৩০) সাথে প্রতিপক্ষ যুদ্ধাপরাধী মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মাও. আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের নিকট আত্মীয় হবিবর রহমান ওরফে হবি ফকির গ্রুপের সৈয়দ নুর আলীর ছেলে সৈয়দ জাকির (২২) এর অনলাইনে টি-শার্ট ক্রয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে হবি ফকির সমর্থিত ৫০/৬০ জন লোক অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে জয়পাশা বাজারে সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার সমর্থকদের ৭টি দোকান এবং কয়েকটি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হন ৪ জন। আহতরা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলাকারীরা জয়পাশা বাজারে অবস্থিত সৈয়দ মোহম্মদ আলী, আফজাল হোসেন, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, আলাউদ্দিন সিকদার, রিপন শেখ, সৈয়দ আফিজ আলী, ইনজামামুল মিয়া, সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আলমগীর হোসেনের দোকানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এছাড়া প্রতিপক্ষের কয়েকটি বসতঘরসহ ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক মিটার, আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল ভাংচুর করে বিনষ্ট করে। এ সময় তারা দোকানের মালামাল এবং ক্যাশ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। হবিবর ফকিরের নেতৃত্বে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, পলাশ, জুয়েল কাজী, খলিল কাজী, মুরাদসহ প্রায় ৫০/৬০ জন দুর্বৃত্ত হামলায় অংশ নেয় বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ আলী।

এ ব্যাপারে সাবেক ‍উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার বলেন, ‘অনলাইনে টি-শার্ট ক্রয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের হামলার সূত্রপাত হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিতভাবে বাজারের কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে।

হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার ব্যাপারে হবিবর রহমান ওরফে হবি ফকির মোবাইলে ফোনে জানান, ঝামেলার মধ্যে আছি, আগে মামলা করে নিই। এখন কোনো বক্তব্য দিবো না। বক্তব্য যা দেয়ার পরে দিবো। সাংবাদিক সম্মেলন করে সবকিছু জানাবো।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

(কেএফ/এসপি/মার্চ ১৯, ২০২৪)