তুষার বাবু, নেত্রকোণা : চলে গেলেন ব্রিটিশ বিরোধী ও টঙ্ক আন্দোলন তথা হাজং বিদ্রোহের শেষ সাক্ষী কুমুদিনী হাজং (৯২)। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন কুমুদিনী হাজং এর ছেলে লিটন হাজং। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন ঐতিহাসিক হাজং বিদ্রোহের প্রবাদপ্রতিম এই নেত্রী। অতঃপর শনিবার দুপুরের দিকে তাঁর মৃত্যু ঘটে। হাজং রীতি অনুযায়ী শণিবার রাতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেড়াতলী গ্রামে পাহাড়ী অঞ্চলের এক টিলায় বসবাস করতেন কুমুদিনী হাজং। হাজং বিদ্রোহের সাক্ষী কুমুদিনী হাজং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধু, টংক আন্দোলন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি জুলুম বৈষম্য, নিপীড়ন, ১৯৬৪ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মহান স্বাধীনতা আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলনের কালের স্বাক্ষী ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ অসংখ্য গ্রনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মননা পেয়েছেন তারমধ্যে, ১৯৯৯ সালে তেভাগা কৃষক আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে পুরস্কার, ২০০৩ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ নির্বাচিত পুরস্কার, ২০০৫ সালে স্বদেশ চিন্তা সংঘ ড. আহম্মদ শরীফ স্বারক্ষ পুরস্কার, ২০০৭ সালে মনিসিংহ স্মৃতিপদক পুরস্কার, ২০১০ সালে সিধু কানহু ফুলমনি পদক, ২০১৪ সালে জলশিঁড়ি পদক, ২০১৮ সালে হাজং জাতীয় পুরস্কার, ২০২১ সালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক সম্মাননা, ২০২২ সালে পথ পাঠাগার সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

(টিবি/এসপি/মার্চ ২৩, ২০২৪)