নওগাঁ প্রতিনিধি :নওগাঁর ধামইরহাটে চলতি আমন মৌসুমে ধান ঘরে ওঠার আগ মুর্হুতে কারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন ধরণের ওষুধ প্রয়োগ করেও সুফল পাচ্ছে না কৃষক। এবার ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমন ধান রোপন করে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার এ উপজেলায় ২১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। সঠিক সময়ে আকাশের পানি, পরিচর্যা ও সার কীটনাশকের সংকট না থাকায় ধান গাছগুলো লক-লকে ও তরতাজায় পরিণত হয়েছিল।অধিকাংশ জমিতে সরু চাল হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল ধান রোপন করেছে স্থানীয় কৃষকরা। এছাড়া ব্রিধান-৪৭,৪৯,৬২ ও বিনা-৭ জাতের ধান রোপন করা হয়েছে।

ধান পাকা মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্ব থেকে আকস্মিকভাবে উপজেলার সর্বত্র কম বেশি ধান ক্ষেতে কারেন্ট (বাদামী গাছ ফড়িং) পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। পঙ্গপালের মত এ পোকার আক্রমণে ধান গাছ রস শুন্য হয়ে শুকিয়ে মরছে।

ধান ক্ষেতে থোড় বের হবার সময় উপজেলার মাঠের পর মাঠ সবুজের সমারোহ কৃষকের বুক গর্বে ফুলে ওঠেছিল।তারা স্বপ্ন দেখছিল, এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে।

কৃষকরা হিসাব-নিকাশ কষছিল ধান ক্ষেতের লাভ লোকসান নিয়ে। কিন্তু শেষ মূর্হুতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে তাদের সকল হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছে।

যেসব জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে, সে সকল জমির ধান গাছ গুকিয়ে খড়ে পরিণত হয়েছে। খড়গুলো দূর্বল ও গন্ধযুক্ত হওয়ায় গরু-মহিষ পর্যন্ত সেগুলো খেতে চাইছে না।

আবিলাম গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, কয়েক বার ধান ক্ষেতে কারেন্ট পোকার বিষ প্রয়োগ করার পরও ধান কাটার সময় আবারও এ পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ পোকার আক্রমণ বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে এবার এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে। হেক্ট্র প্রতি প্রায় সাড়ে ৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে পারে বলে জানান তিনি।


(বিএম/এসসি/নভেম্বর ১৫,২০১৪)