স্টাফ রিপোর্টার : শনিবার (২৩ মার্চ) কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত।

গত বছর ডিসেম্বরে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শনিবারের নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী আদেশ আসার আগ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে রপ্তানি।

মুম্বাইভিত্তিক রপ্তানি সংস্থার এক নির্বাহী বলেছেন, নতুন মৌসুমের ফসলের ক্রমবর্ধমান সরবরাহের সঙ্গে দরপতনের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো বিষয়টি আশ্চর্যজনক এবং একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।

ওই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ রুপিতে। নিষেধাজ্ঞার পর থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে এবং বর্তমানে বাজারগুলোতে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য নেমেছে ১ হাজার ২০০ রুপিতে।

রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা আসায় সামনের দিনগুলোতে দাম আরও নেমে যাবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছে হু হু করে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে যা কিছুদিন আগে ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

ভারতের কৃষিপণ্য রপ্তানি সংক্রান্ত সরকারি সংস্থা হর্টিকালচার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (হেপা) প্রেসিডেন্ট অজিত শাহ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। প্রতি বছরেই মার্চ-এপ্রিল মাসে (আন্তর্জাতিক) বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়। এতদিন ভারতীয় পেঁয়াজ এই ঘাটতি সামাল দিতো। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে এ বছরের তিন মাসে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পৌঁছায়নি, সেজন্যই এ ঘাটতি।’

‘তবে মে মাসে মিসর-তুরস্ক থেকে পেঁয়াজের চালান আসা শুরু হবে। সেসময় দামও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।’

(ওএস/এএস/মার্চ ২৪, ২০২৪)