বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের কচুয়ায় এক তরুণীকে (১৬) অপহরণের পর বাড়িতে আটকে রেখে এক যুবক ধর্ষণ করেছে।

শনিবার দুপুরে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে বাড়ির মালিক কাজী আব্দুল হাইকে (৪৭) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার রাতে কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের আব্দুল হাই কাজীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেলে এই ঘটনায় মেয়েটি মা (রিনা বেগম) বাদী হয়ে বাগেরহাটের কচুয়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

তবে ধর্ষক রাজুকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ধর্ষিত মেয়েটিকে পুলিশ উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। রোববার সকালে মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া কাজী আব্দুল হাই গজালিয়া গ্রামের মোমিন উদ্দিন কাজীর ছেলে।

মেয়েটির বরাত দিয়ে কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বিকালে বলেন, শুক্রবার বিকালে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে পার্শ্ববর্তি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের ওই মেয়েটি একই এলাকার সুমন নামে তার কথিত প্রেমিককে নিয়ে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামে ভ্যানযোগে বেড়াতে আসে।

এসময়ে গজালিয়া গ্রামের ইউনুস আলী দরানীর ছেলে রাজু দরানীসহ ৪-৫ যুবক তাদের গতিরোধ করে মেয়েটির সঙ্গে থাকা সুমন নামে ওই যুবককে মারধর করে তার একটি মোবাইলসেট ও নগদ দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরে তার প্রেমিক সুমনকে তাড়িয়ে দিয়ে মেয়েটিকে রাজু ও তার সঙ্গীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে গজালিয়া গ্রামের জনৈক আব্দুল হাই কাজীর বাড়িতে রাখে। পরে রাতে বাড়ির মালিক আব্দুল হাইকে খাবার আনতে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে রাজু মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং বাড়ির মালিক কাজী আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রোববার সকালে মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই ঘটনায় বাড়ির মালিক আব্দুল হাই ও রাজুসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে কচুয়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।


(একে/এসসি/নভেম্বর ১৫,২০১৪)