মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন পর জেলা জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ও সমাবেশে যোগ দিতে আজ রবিবার মৌলভীবাজারে আসছেন দলটির  চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

দলের চেয়ারম্যানের আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা এখন চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। গত কয়দিন যাবত শহরের সর্বত্র বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট বিতরণ টাঙানো নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা।

জেলা ও উপজেলা শহরে হয়েছে মিছিল মিটিং আর গণসংযোগ। দলীয় সূত্রে জানায়, নানা কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম।

সংসদের প্রধান বিরোধী দলে থাকার পরও নানাভাবে তাদের চাওয়া পাওয়ার ফারাক থাকায় এর প্রভাব পড়ে দলীয় কাজে। ফলে নেতাকর্মীরা অনেকটা হতাশ হয়ে ছিলেন।

বিগত নির্বাচনের আগে মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ও তখনকার সিলেট বিভাগের একমাত্র জাতীয় পার্টির এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খানও দল ছেড়ে যোগ দেন কাজী জাফর এর নেতৃত্বে বহু বিভক্ত জাতীয় পার্টির আরেকটি অংশে ।

এ কারণে তার সমর্থক ও অনুসারীরাও সাবেক দল ছেড়ে যোগ দেন নতুন দলে। অনেকই আবার ছিলেন নীরব।

দীর্ঘদিন থেকে জেলা ও উপজেলা কমিটি না হওয়ায় অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছিল দলের সাংগঠনিক কাজ। দলের কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতার সময়ে পার্টি চেয়ারম্যানের আগমনে বেশ নড়েচড়ে উঠেছেন জেলার নেতাকর্মীরা।

ইতিমধ্যে সাত সাংগঠনিক উপজেলার মধ্যে ৬টির নতুন কমিটি করা হয়েছে। গতকাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সৈয়দ সাহাবুদ্দিন আহমদ জানান, তাদের সব প্রস্তুুতি প্রায় চূড়ান্ত। দলের চেয়ারম্যানের আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।

চেয়ারম্যানের আগমন, সমাবেশ ও কাউন্সিল সফল করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় মতবিনিময় সভা করছেন। প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি করেছেন মিছিল মিটিং।

চিঠির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনসাধারণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে দেয়া হয়েছে অনুষ্ঠানের দাওয়াত।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই আজ মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।

মৌলভীবাজার পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন ব্যাবস্থাপনার দায়ীত্বে নিয়েজিত মাহমুদুর রহমান জানান, দলের চেয়ারম্যানকে বরণ করতে তাদের প্রস্তুতির কোন কমতি নেই , বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। শ্রীমঙ্গলের লছনা এলাকা থেকে মৌলভীবাজার পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে অর্ধশতাধিক তোরণ। কয়েকশ’ মোটরসাইকেল ও গাড়ির বহরের শোভাযাত্রার মাধ্যমে দলের চেয়ারম্যানকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

(এমএকে/এসসি/নভেম্বর ১৬,২০১৪)