মোহাম্মদ সজীব, ঢাকা : আওয়ামী লীগের নামে চাঁদাবাজি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে কটুক্তির অভিযোগে রাজধানীর হাজারিবাগ থানার ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডের ১০ নাম্বার ইউনিটের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে মোঃ মিনহাজকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ  তাকে বহিষ্কার করা হলেও বিষয়টি প্রকাশ্য আসে ২৫ মার্চ রাতে। 

হাজারিবাগ থানার ১৪ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, মিনহাজ দলের শীর্ষ নেতা হতে ওয়ার্ডের সিনিয়র নেতাদের নামে বিভিন্ন ধরণের কটুক্তি করে বেড়াতো। দলের সিনিয়র নেতৃীবৃন্দ তাকে সাবধান করলে সে আর বেশি কটুক্তি করে বেড়াতো। যা দলের ও সিনিয়র নেতাদের সম্মানের হানি করে।

এরমধ্যে বেড়িবাঁধ রোড়ের পাশের বিভিন্ন আড়ৎ ও দোকান থেকে প্রতি মাসে আওয়ামী লীগের নামে চাঁদা তুলে। এই বিষয়ে প্রমাণ পাওয়াতে তাকে দলের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লিখিত একটি বহিস্কার পত্র হাতে আসে এই প্রতিবেদকের হাতে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে বার বার মৌখিক ভাবে সর্তক করার পরও তিনি শোনেন নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, হাজারিবাগ থানার ১৪ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল ইসলাম খোকন এই প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন মিনাহজের পক্ষে ফোন দিয়েছেন দাবি করে বলেন আপনি এসব জানার কে আপনি আমার কাছে জবাব চাইছেন, ফোন কেনো দেয়েছেন আপনি আমার অফিসে আসতেন। কাকে কেনো বহিস্কার করেছি সেটা দলকে বলবো, আপনি ওই চোরের পক্ষ্য হয়ে ফোন দিয়েছেন আপনার যা খুশি লিখেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মিনহাজ উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, আমি ভাই একটা অশিক্ষিত মানুষ। আমি এসব কিছু জানিও না বুঝিও না। উপরে একজন আল্লাহ আছে আমি তাকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না, আপনারা যা সত্য সরিজমিনে ঘুরে দেখেন আমি চাঁদাবাজ প্রমানিত হলে এলাকা ছেড়ে দিবো, আমার রাজনৈতিক শত্রুরাই এসব মিথ্য কথা ছড়াচ্ছে। তবে চাঁদা তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এই বিষয়ে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। এবং যারা আমার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়েছে তারাই বড় চাঁদাবাজদের সাথে ঊঠা বসা করে, কিন্তু আগে আমার এতো মূল্যায়ন ছিল তাদের কাছে হঠাৎ করে কেন আমাকে বহিস্কার করলো তা সবাই বুঝে, তিনি লেগুনা হেলপার এবং র‍্যাবের সোর্স ছিলেন কিনা এবং এত সম্পদের মালিক হলেন সেই বিষয়ে তিনি এমন কিছু নয় বলে দাবি করেন। কিভাবে মুরগী ও ফলের আড়ৎ এবং গ্যারেজের মালিক হলেন, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে এসব তার নয় বলে সব ভাড়া নেওয়া এবং সে কন্টাক্টটারি কাজ করেন এবং যা টাকা কামিয়েছেন সেটা পরিশ্রম করে কামিয়েছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু আড়ৎ ও গ্যারেজে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় সেখানেই তার অফিস। সেখানে কর্মরত কর্মচারীরা বলেন, মিনহাজ ভাই এই গ্যারেজ-দুটি ফলের আড়ৎ ও তিনি এখানে প্রতিদিন অফিস করেন।

(এসকে/এসপি/মার্চ ২৬, ২০২৪)