রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ বলেছেন, 'জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালীরা সশস্ত্র যুদ্ধ করে, জীবন ও ইজ্জত বিলিয়ে দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে'। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কারও দয়ায় স্বাধীন হয়নি। বহু রক্ত প্রাণ ও মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই দেশ। জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের দেশ দিয়েছেন, আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা এদেশের মানুষকে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি।'

মঙ্গলবার ফরিদপুর শহরের কবি জসীম উদ্দীন হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল এবং আলোচনা সভানুষ্ঠানে এ কে আজাদ প্রথান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসন আয়োজনে ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপত্বিতে উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মিসেস ঝর্ণা হাসান। অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, স্থানীয় সরকার ফরিদপুর জেলার উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, ফরিদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ বাবুল, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ প্রমুখ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক দেশের বাইরে থাকায় এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের 'স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস' উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি থাকায় অতিথিদের বেশ কয়েকজন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সবাই এবং শহিদ ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়া ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ নামক দেশটি যতোদিন পৃথিবীর ভূখন্ডে বেঁচে থাকবে ততোদিন এদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জাতি সম্মাদের সহিত স্বরণ করবে।'

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার, ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, সাবেক জেলা আওয়ামী নেতা এডভোকেট বদিউজ্জামাল বাবুল, ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মাহাতাব আলী মেধু, কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, কোতয়ালি থানা আওয়ামী লীগনেতা মো. মনোয়ার হোসেন, ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জামাল উদ্দিন কানুসহ আরও অনেকে।

(আরআর/এএস/মার্চ ২৭, ২০২৪)