স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গোপন চুক্তির মাধ্যমে বর্তমানে দেশকে যেদিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে তাতে জাতীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়ছে ।

রবিবার মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির চেয়ারপারসন এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, দেশে আবারো গণবিরোধী শক্তি গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রে স্বীকৃত মানুষের সব স্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েছে। জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে একের পর এক গোপন চুক্তির মাধ্যমে বর্তমানে দেশকে যেদিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে তাতে জাতীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়ছে।

খালেদা বলেন, দেশে প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে আগ্রাসী শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের মাটি, মানুষ সংস্কৃতির ওপর চলছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিরবচ্ছিন্ন আগ্রাসন। তাই এই মুহূর্তে আধিপত্যবাদী শক্তি এবং তাদের এদেশীয় প্রতিভূদের রুখতে মওলানা ভাসানী প্রদর্শিত পথই আমাদের পাথেয়। আমরা সেই পথেই অপশক্তির অশুভ ইচ্ছাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরণার উৎস। তার নিখাদ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। তার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, তিনি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক প্রাতঃস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মওলানা ভাসানী বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপ-মহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে তিনি আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ৫০ এর দশকেই মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বাণী শুনিয়েছিলেন এদেশের জনগণকে। তিনি আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম স্বাপ্নিক, দেশমাতৃকার মুক্তির পথ প্রদর্শক। স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ভাসানী ছিলেন প্রদীপ্ত এক আলোকবর্তিকা।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৬, ২০১৪)