বিশেষ প্রতিনিধি : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করায় পাংশা সরকারি কলেজের প্রভাষক শামীমা আক্তার মিনুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: ইয়ামিন আলী। আগামী দশ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, শামীমা আক্তার মিনু একজন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়েও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রতিযোগিতার বিচার কার্যক্রম ও পুরস্কার প্রদানকে প্রশ্নবিদ্ধ দাবি করে অযৌক্তিকভাবে উপজেলা প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং পাংশা সরকারি কলেজের ইমেজ ও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আপনি যে টেক্সট করেছেন তা নিজ মুখে অধ্যক্ষের সামনে স্বীকার করেছেন। আপনাকে ইতিপূর্বে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।

অভিযুক্ত প্রভাষক শামীমা আক্তার মিনুর ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। পরে তার স্বামী (আব্দুল মান্নান) পাংশা আইডিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তার নিজ মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে বলেন, আমরা কলেজ থেকে কোন নোটিশ পাইনি। তবে এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছে সেটা কি তিনি করতে পারেন? এমনকি ফেসবুকে পোস্টের কারণে অধ্যক্ষ (পাংশা সরকারি কলেজ) তিনিও কারণ দর্শানোর নোটিশ করতে পারেন না। আমার স্ত্রী তার নিজের মতামত প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি একটা কলেজের অধ্যক্ষ। আমি ইউএনও থেকে বড় স্কেলে চাকরি করি।

পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: ইয়ামিন আলী কারণ দর্শানোর নোটিশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।অথচ সেই অনুষ্ঠান নিয়ে বিষোদগার করেছে।

তিনি আরও বলেন, তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে উদ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।

(একে/এসপি/মার্চ ২৮, ২০২৪)