কেন্দুয়া প্রতিনিধি : আরআইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া বাজার হতে গোগ বাজার রাস্তার চেইন, ১৮০০-৪০৮৫ মিটার এবং ব্রাহ্মনজাত মোড় হতে চৌমুড়িয়া রাস্তা চেইন-০-২১৫ মিটার কাজ বাস্তবায়নে দর পত্রের নিয়ম মানছেন না ঠিকাদার মো: রিয়াজ উদ্দিন। 

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নেত্রকোণা কার্যালয় হতে গত ২০২২ সনের ৮ সেপ্টেম্বর এই দুইটি রাস্তার পাকা করণের জন্য কার্যাদেশ প্রধান করা হয়। কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিল ২০২৩ সনের ২৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু কার্যাদেশ মোতাবেক সময়সীমা পেরিয়ে আরও ৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখনোও দুটি রাস্তায় ৫০% কাজও হয়নি। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৩৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করছেন ঠিকাদার। তবে এলাকাবাসির অভিযোগ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেও মাত্র ২৫% কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দুটি রাস্তার প্রাক্যলিত মূল্য ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। কাজটি সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়নের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে কেন্দুয়া উপজেলার ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মরহুম জসিম উদ্দিনের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি নেত্রকোণা বরাবর গত ২৫ মার্চ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে তিনি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। এছাড়া সময়সীমা পেরিয়ে আরও ৮ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ বাস্তবায়ণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকার শতাধিক লোক সুষ্ঠভাবে রাস্তা নির্মাণের দাবিতে গত ২৫ মার্চ এই রাস্তার উপর দাড়িয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

শনিবার এলজিইডির নির্মাহী প্রকৌশলী নেত্রকোণা (২) রবিউল ইসলাম ওই রাস্তা নির্মাণ কাজ দেখতে তদন্তে আসেন। তবে তার সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হয় কিন্তু তিনি একবার ফোন কেটে দিয়ে ফোন আর রিসিভ করেননি। এদিকে বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোজ্জামেল হোসেন কে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার শনিবার বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের জন্য ঠিকাদার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, খুব দ্রুততম সময়েরে মধ্যে দরপত্রের নিয়ম মোতাবেক উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে দেবেন।

ঠিকাদার মো: রিয়াজ উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়ে থাকলে তা আমি পরিবর্তন করে দেবো। তাছাড়া কাজের যে সময়সীমা ছিল সেটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সময়সীমার অনুমোদন হয়েছে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। এই পত্রের নির্দেশনায় সামগ্রীরও পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন সময়সীমার আগেই কাজ শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

(এসবি/এসপি/মার্চ ৩০, ২০২৪)