স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : শহরকে যানজটমুক্ত করতে সড়কে নেমে বিপাকে পড়তে হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফকে। শহরে যানজট নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযানের সময় একটি মোটরসাইকেল সরানোকে কেন্দ্র করে ঘটেছে অনাকাঙ্খিত এক ঘটনা। সেসময় স্থানীয়দের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে টিপু সুলতান নামের এক যুবক আহত হয়। এ ঘটনায় ওই যুবকের স্বজন মেয়রসহ ১৪জনের নামে থানায় হয়রানীমুলক একটি মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌর শহরকে যানজটমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা সভায় এক সিন্ধান্ত গ্রহন করে। শহরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও আসন্ন ঈদে সাধারন মানুষ নির্বিঘ্নে মার্কেটগুলোতে গিয়ে কেনা কাটা করতে পারে সেজন্য পৌর আশরাফুল আলম আশরাফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে মেয়র কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে শহরকে যানজট মুক্ত রেখেছিলেন। হঠাৎ করেই ওই যুককের বিতর্কিত কর্মকান্ডে শহরের সমস্ত কার্যক্রম থমকিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিল টিপু সুলতান। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। মূলত কালীগঞ্জ শহরে ভাল কর্মকাণ্ডগুলোকে বিরোধী করে আসছিল সে। তারই ধারাবাহিকতায় উল্টো পথে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বিতর্কে পড়ে নিজেই লোকজন ডেকে এনে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন জানান, একটা শহরের দেখভাল একজন পৌরপিতাই করে থাকেন। শহরকে যানজট মুক্ত করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফ। উল্টো এক মাদকসেবীর গাড়ি সরানোকে কেন্দ্র করে মেয়রকেই মামলার আসামী হতে হলো। এমন হলে দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়ন হবে কিভাবে।

(একে/এসপি/মার্চ ৩০, ২০২৪)