স্টাফ রিপোর্টার : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনার ভয়াবহ ছোবলে বিশ্ব স্থবির হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কালমেঘ ছেয়েগিয়েছিল সেই মেঘ ক্রমশ কাটতে শুরু করেছে। পরপর কিছু আশাব্যঞ্জক খবরের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশান্বিত হওয়ার সুযোগ তৈরী হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। পরিস্থিতির কারণে সরকারের মধ্যেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে। একাধিক কারণে সরকার মনে করছে, সরকার বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপের মুখে আপাতত নেই।

রেমিটেন্স আয় ও রফতানি বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটে গেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। সংকট কেটে যাওয়া খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৫ থেকে কমে ১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর এতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে।

এদিকে, চলতি মাসের (মার্চ) ২৯ দিনে প্রবাসীরা ১৮১ কোটি ৫১ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা।৩১ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

এ পরিস্থিতিতে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)-এর প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি প্রপোজালের জন্য। বাংলাদেশ আগে প্রপোজাল দিক, তারা টাকা দেবে। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আরবড়ধরনেরসন্দেহ নেই। কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।

অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশ চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। যারা ভেবেছিলো যে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২৪)