কেন্দুয়া প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) অধিনে আরআইডিপি-৩ প্রকূল্পের আওতায় কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া বাজার হতে গোগ বাজার রাস্তার চেইন ১৮০০-৪০৮৫ মিটার এবং ব্রাহ্মনজাত মোড় হতে চৌমুরিয়া রাস্তা চেইন -০-২১৫ মিটার কাজ বাস্তবায়ন নিয়ে গড়িমসি করছেন ঠিকাদার মো: রিয়াজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে, দরপত্রের নিয়ম না মেনে রাস্তা নিমার্ণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। 

জানা যায়, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নেত্রকোণা কার্যালয় হতে গত ২০২২ সনের ৮ সেপ্টেম্বর ওই দুইটি রাস্তা পাকা করণের জন্য দরপত্রের নিয়ম মোতাবেক কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সে মোতাবেক কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল ২০২৩ সনের ২৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেই কার্যাদেশ মোতাবেক সময়সীমা পেড়িয়ে আরও ৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও দুটি রাস্তার ৪০% কাজও হয়নি। তাছাড়া যেটুক কাজ হয়েছে সে কাজও করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। দুটি রাস্তার প্রাক্কলিত মূল্য ২ কোটি ৪২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। কাজটি সুস্থভাবে বাস্তবায়নের দাবিতে এলাকাবাসির পক্ষে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নেত্রকোণা বরাবর গত ২৫ মার্চ লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগটি দেন কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মরহুম জসিম উদ্দিনের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ।

অভিযোগে তিনি ঠিকাদারের কাজ নিয়ে গড়িমসি ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী (২) রবিউল ইসলাম নেত্রকোণা থেকে এসে সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এছাড়া কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন কে নিয়ে দুটি রাস্তার কাজ দেখেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের জন্য ঠিকাদার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে দরপত্রের নিয়ম মোতাবেক উন্নত মানের সামগ্রী দিয়ে নিমার্ণ করে দেবেন বলে অঙ্গিকার করেন। ঠিকাদার মো: রিয়াজ উদ্দিনের ভাষ্য নিম্নমানের সামগ্রী যদি ব্যবহার হয়ে থাকে তাহলে তা পরিবর্তন করে দেবো। তাছাড়া কাজের যে সময়সীমা ছিল সেটি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই সময়সীমা বাড়ানোর অনুমোদন হয়েছে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই দুটি রাস্তার কাজ শেষ করে দিবেন বলে দাবি করেন।

এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নেত্রকোণা মো: রবিউল ইসলামের নিকট দুটি রাস্তার কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারকে তো আর মারপিট করে কাজ করানো যাবে না। তিনি নিয়ম মেনে কাজ করছেন না। তাই আমরা কাজটি বাতিল করে দেওয়ার জন্য উপরে চিঠি লিখেছি।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২৪)