আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা : রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছিল। মিলছিল একের পর এক হতাশাজনক খবর। এরই মধ্যে আশার সলতেয় আগুন জ্বলে উঠল। চীন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে নিয়োজিত চীনের একটি উপগ্রহ সাগরে ‘সন্দেহজনক ধ্বংসাবশেষ’ শনাক্ত করেছে।

বোয়িং ৭৭৭-এর রহস্যময় অন্তর্ধানে এ খবর গুরুত্বপূর্ণ এক বাঁক এনে দিল বলে মনে করছে সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

সিএনএন এই খবর দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে একই রকম একটি খবর মিলেছিল। সন্ধানকাজে নিয়োজিত আরেকটি দল দাবি করে, ভিয়েতনামের একটি দ্বীপের কাছে বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ তারা চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে ওই খবরটি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সূত্র থেকে নিশ্চিত করা যায়নি। কিন্তু সিএনএন চীনের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ফর ন্যাশনাল ডিফেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করায় এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। চীনা সংস্থাটি বুধবার নিজেদের দাবির পক্ষে কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলছে, তাদের উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে সাগরে ভাসমান তিনটি সন্দেহজনক ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে। এই ধ্বংসাবশেষগুলোর ধরন এবং সেগুলোর আকারই নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে কাজ করতে পারে। এর একটির আকার ১৩–১৮ মিটার (৪৩ ফুট বাই ৫৯ ফুট), আরেকটির আকার ১৪–১৯ মিটার, অন্যটির ২৪–২২ মিটার।

গত শুক্রবার মধ্যরাতে ২৩৯ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী নিয়ে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই চীনের কৃত্রিম উপগ্রহ এই ছবিগুলো তুলেছিল। তবে বুধবারই এটি প্রথম প্রকাশ করা হয়।

সাগরের পানিতে ভাসমান তেল বা ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান করা হচ্ছে কয়েক দিন ধরেই। এতেও আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু না মেলায় সন্ধান এলাকার আয়তন দ্বিগুণ করা হয়েছে বুধবার। এখন ২৭ হাজার বর্গ নটিক্যাল মাইল (৩৫ হাজার বর্গমাইল) আয়তনজুড়ে সন্ধানকাজ চলছে।

তবে চীনের এই উপগ্রহের তোলা ছবি গুরুত্বপূর্ণ সূত্রের সন্ধান দিতেও পারে!

(ওএস/এইচআর/মার্চ ১৩, ২০১৪)