আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে বৃহস্পতিবার ফোনালাপ হয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক ও বিদেশি ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষা দিতে বাইডেন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এর ব্যত্যয় হলে ওয়াশিংটন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনে লাগাম টানতে পারে।

ইসরায়েলি হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন কড়া বার্তা এলো। ইসরায়েলের সামরিক কৌশল পাল্টাতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের কয়েক মাস পর ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।

হোয়াইট হাউস নেতানিয়াহুকে ঠিক কী পদক্ষেপ নিতে বলেছে, কিংবা পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে কী করবে, তা জানায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্নিহিত হুঁশিয়ারিটি ছিল ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র স্থানান্তর ধীর করা কিংবা জাতিসংঘে মার্কিন সমর্থন পরিমিত করা।

বাইডেন-নেতানিয়াহু ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বলেছে, বেসামরিকদের প্রাণহানি কমানো, মানবিক দুর্ভোগ লাঘব এবং ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য বাইডেন ইসরায়েলকে সুনির্দিষ্ট, বাস্তব ও পরিমিত পদক্ষেপ ঘোষণা এবং তা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।

এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, বাইডেন স্পষ্ট বলেছেন, ইসরায়েল এসব ক্ষেত্রে কতটা পদক্ষেপ নিয়েছে তার ওপর মার্কিন নীতি নির্ভর করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অবশ্য আরও স্পষ্টভাবে বলেছেন। তিনি বলেন, দেখুন, আমি শুধু এটিই বলব: পরিবর্তন যদি আমরা দেখতে না পাই, তবে আমাদের নীতিতে পরিবর্তন হবে।

ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল সরকার গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। জর্ডান থেকে ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে উত্তর গাজায় আশদোদ বন্দর ও ইরেজ ক্রসিং খুলে দেওয়ার কথাও জানায় দেশটির সরকার। এটি এখনো স্পষ্ট নয়, এ পদক্ষেপ মার্কিন চাওয়া পূরণে যথেষ্ট কি না।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৫, ২০২৪)