বিশেষ প্রতিনিধি : আকাশ ছেয়ে গেছে দুর্গন্ধযুক্ত কালো ধোঁয়ায়, দেখে মনে হয় যেন ঘন কুয়াশা। বাতাস যে দিকে যায় ধোয়াও সেদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, এটা কোন যানবাহন বা ইটভাটার ধোয়া নয়। এ ধোঁয়া ছড়াচ্ছে পাথরের ও বিটুমিনের মিশ্রণযন্ত্রের পাইপ থেকে।

রাজবাড়ী টিটিসি ভবনের সম্মুখে ঢাকা- কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে পাথরের স্তূপ, বালির স্তুপ আর বিটুমিনের ড্রাম রাখা। তার পাশে একটি যন্ত্র বসিয়ে বিকট শব্দে তৈরি করা হচ্ছে পিচ ঢালাই রাস্তার পাথর বিটুমিনের মিশ্রণ। ওই মিশ্রণযন্ত্রের পাইপ দিয়ে বের হচ্ছে বিটুমিন পোড়া গন্ধযুক্ত কালো ধোঁয়া। আর এ ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে আকাশে বাতাসে, ঢুঁকে যাচ্ছে যুব উন্নয়ন ভবনে, টিটিসি ভবনে, একটি মাদ্রাসায় ও বসত বাড়ি-ঘর সহ অন্তত কেয়াটার কিলোমিটার এলাকায়। এতে, ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যুব উন্নয়নের ও টিটিসির শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা, স্থায়ী বসতিরা ও পথযাত্রীরা।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দু'টি পাবলিক ট্রেনিং সেন্টারের পাশে ও জনবসতি এলাকায় বসানো পাথর- বিটুমিনের মিশ্রণযন্ত্রের কালো ধোঁয়াই প্রকাশ্যে বায়ু দূষণ হচ্ছে প্রতিদিন। অথচ এ বায়ু দূষণের ব্যাপারটি যেন দেখার কেউ নেই, -এমনটি মন্তব্য করেন ভুক্তভোগীরা!

এ বিষয়ে গুগল সার্চ করে পাওয়া যায়; বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো ধোঁয়ার সঙ্গে বস্তুকণা, সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সিসাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে বাতাস দ্রুত দূষিত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, কালো ধোঁয়ায় থাকা বস্তুকণা ও সালফার ডাই অক্সাইডের প্রভাবে ফুসফুস, কিডনি জটিলতা ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও সিসার কারণে শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তি ব্যাহত হয়।

(একে/এএস/এপ্রিল ০৬, ২০২৪)