বান্দরবান প্রতিনিধি :বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও চট্টগ্রাম পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট চলাকালে আজ বিকেলে সাড়ে ৪টায় সুয়ালক এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুদ্ধ পরিবহন শ্রমিকদের লাগিয়ে দেয়া আগুনে ৩টি দোকান ও ২টি মটর সাইকেল ভস্মিভুত হয়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্হ হয় ৪টি বসতবাড়ি ও কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ।সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসসহ ১৫জন আহত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে পিকেটিং করার সময় সুয়ালক এলাকায় চলাচলকারী মটরসাইকেল আরোহীদের সাথে বাকবিতন্ডা এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পরিবহন শ্রমিকরা। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ।

এক পর্যায়ে মাইক্রো-জীপ শ্রমিকরা চড়াও হয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে ৪টি বসতবাড়ী, কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুরও করে।
সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। শ্রমিকদের তান্ডব থামাতে গিয়ে তিনি শ্রমিকদের হামলায় গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রমিক ও স্থানীয়দের মধ্যে ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অপু বড়ুয়া, সুমন, ইকবাল, দিল মাহমুদকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, সুয়ালকের ব্যবসায়ীদের উপর পরিবহণ শ্রমিকদের হামলা দুঃখ জনক। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত। ঘটনাস্থল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি জানান। হামলার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

(এএফবি /এসসি/নভেম্বর১৬,২০১৪)