শৈলকুপা প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকূপার বাগনী সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীয়ান মিতালি বিশ্বাস মজুমদারের বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে বাগনী সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই সময় মিতালী বিশ্বাস মজুমদার লাইব্রেরীয়ান পদে আবেদন করেন। তাঁর স্বামী বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি হওয়ায় সবকিছু কৌশলে ম্যানেজ করে ওই প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ পেয়ে যান তিনি। তার নিয়োগের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন নিয়োগ বঞ্চিত একাধিক আবেদনকারী। তাঁরা অভিযোগ করেন লাইব্রেরীয়ানের জাল সনদ সংগ্রহ করে চাকরিতে যোগদান করেন মিতালী। কিন্তু মিতালী বিশ্বাসের স্বামী সুব্রত কুমার বিশ্বাস দীপক স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে নিয়োগ বঞ্চিতরা নীরব হয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে মিতালী রানী বিশ্বাসের মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মিতালী রানীর স্বামী সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, আমার প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বাগনী সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার বিশ্বাস ল জানান, সেসময় যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজমা সামাওয়াত জানান, বিষয়টা আমার জানা নেই। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত লাইব্রেরীয়ানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসআই/এসপি/এপ্রিল ০৮, ২০২৪)