স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সংগ্রহ করেছে কমিশনের নিযুক্ত অনুসন্ধানকারী টিম।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণে অভিযুক্তদের সার্ভিস বুকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা সনদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কমিশন সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন—দুদকের মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান মোল্লা, পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া, পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক ঢালী আবদুস সামাদ, উপ-পরিচালক এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী ও সাবেক উপ-পরিচালক রঞ্জন কুমার মজুমদার।

অভিযুক্ত কর্মচারীরা হলেন—সহকারী পরিদর্শক আবদুস সোবহান, কোর্ট সহকারী (এএসআই) নুরুল ইসলাম ও ইসহাক ফকির।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইতোমধ্যেই কমিশন থেকে অভিযুক্তদের যাবতীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে কমিশনের টিম তা পরীক্ষা করছে। এখন মুক্তিযোদ্ধা বিষয় মন্ত্রণালয় থেকে অভিযুক্তদের বিভিন্ন প্রমাণপত্র সংগ্রহ করা হবে। এ সব পর্যালোচনা করে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপরই ঘটনার সত্যতা মিলবে।’

দুদক সূত্র জানায়, ওই নয়জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগের অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে আইন বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল হোসেন মোল্লা ও পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া অসত্য তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদগ্রহণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গোলাম ইয়াহিয়া চাকরির প্রচলিত বয়সসীমা শেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের দেওয়া সুবিধা অনুযায়ী এক বছর অতিরিক্ত সময় চাকরি করেছেন।

নিজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির এ অভিযোগ গত ২১ অক্টোবর কমিশনের মাসিক সভায় উত্থাপিত হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে কমিশন এতে অনুমোদন করলে ২২ অক্টোবর দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধানকারী টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করা হয়।

অনুসন্ধান টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী। টিমের আরেক সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।

(ওএস/এইচআর/নভেম্বর ১৭, ২০১৪)