সালথা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ঢুকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় মো. বাকি বিল্লাহ্ (৩৫) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে হাসপাতালটির ৫ম তলার সার্জারী ওয়ার্ডে ঢুকে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ধাঁরালো অস্ত্রের আঘাতে আহত বাকি বিল্লাহ্ ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও একই উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের রহমান মুন্সীর ছেলে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ফরিদপুর সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াদুদ মাতুব্বর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমি শনিবার রাতে বাকি বিল্লাহকে সাথে নিয়ে 'ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫তলায় ভর্তি একজন রোগিকে দেখতে যাই। ওই ওয়ার্ডে সালথার একটি মারামারির ঘটনার কয়েকজন রোগিও ভর্তি ছিলো। রোগি দেখে ফেরার সময় একই ওয়র্ডের মারামারীর রোগিদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য কয়েকজন লোক রোগি ও তাদের স্বজনদের উপর হামলা করার চেষ্টা করলে বাকি বিল্লাহ দৌড়ে গিয়ে ঠেকাতে যায়। তখন ওরা বাকি বিল্লাহ এর উপর হামলা করে। এতে বাকি বিল্লাহ গুরুত্বর আহত হয়। তাকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল এর নেতৃত্ব এ হামলা চালানো হয়। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমি একটি মিটিংয়ে আছি। মিটিং শেষে এব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারবো।'

তবে এব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন বলেন, 'ফরিদপুরের সালথার একটি মারামারির রেশ ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।'

(এএন/এসপি/এপ্রিল ১৪, ২০২৪)