শেখ লিটন, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করেছে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা এই মৌসুমের জেলার রেকর্ড তাপমাত্রা। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে তীব্র রোদের তাপে মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে আসলেও দ্রুত ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। দুপুরের পর শহরের রাস্তাঘাটে মানুষের ভীড় ছিল খুবই কম। যা একবারেই শুন্য অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত ১২ এপ্রিল থেকে টানা তাপপ্রবাহ চলছে চুয়াডাঙ্গায়। এই সময়ে মৃদু, মাঝারি এবং তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে।

এদিকে, তাপপ্রবাহের মধ্যেই শ্রমজীবী মানুষদের কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসতে হয়েছে। রিকশা ও ভ্যান চালকরা রোদের তাপের মধ্যে রোদ-গরমের কষ্ট মেনে নিয়ে কাজ করেছেন। দুপুরের পর থেকে শহরে মানুষের আনাগোনা কমে যায়। এরপর থেকে কাঙ্খিত যাত্রী পাননি রিকশা ও ভ্যান চালকরা।

কৃষি শ্রমিকরাও মাঠে গিয়ে কাজ করতে পারেননি। সকালে কাজ শুরু করলেও রোদের তাপের কারণে অনেকে সকাল ১১টার আগেই মাঠের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে গেছেন।

কথা হয় পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, চুয়াডাঙ্গায় অনেক গরম আর রোদের প্রচুর তাপমাত্রা। এই অবস্থায় মাঠে ফসলের কাজ করতে পারছি না। সকাল সাতটার পর থেকে প্রখোর রোদ। এই গরম আর আগুন ঝলশানো রোদে মরে যাওয়া অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে। বেশিরভাগ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকেছে ৩৮ ডিগ্রির ওপরে। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের রেকর্ড তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান খোকন বলেন, এ অবস্থায় রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। মাথা ঢেকে রাখাতে হবে। বেশি করে তরল ও পানি জাতীয় খাবার ও ফলমুল খেতে হবে। পচা ও বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা বাইরে না গেলেই ভাল। বাইরের তৈরি খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরি টাটকা খাবার খেতে হবে।

(এসএল/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০২৪)