স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের সোসিও ইকোনোমিক হেলথ এডুকেশন অর্গানাইজেশন (সিও) এনজিওর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের নির্দেশে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম তদন্ত কাজ শুরু করেন। তদন্তের শুরুতে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারীদের নোটিশ করেন এবং তাদের বক্তব্য শোনেন। ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের দপ্তর ও অভিযোগকারীদের সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

এর আগে সিও অফিসে আটকে নির্যাতন ও মিথ্যা চেকের মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে গত ২১ মার্চ মানববন্ধন ও অনশন কর্মসুচি পালন করে সংস্থাটির নির্যাতিত কর্মীরা।

সিও এনজিওর প্রাক্তন কর্মী গাইবান্ধার সুই গ্রামের এবিএম মাহবুবুর রশিদ তদন্তের খবর নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ এপ্রিল তাকেসহ ৫-৬জনকে ডাকা হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তা তাদের মৌখিক বক্তব্য শোনেন এবং লিখিত নেন। সিও এনজিওর নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলমও তদন্ত কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির হয়ে তাঁর বক্তব্য পেশ করেন।

তবে সিও এনজিওর প্রাক্তন এ সব কর্তকর্তারা আশংকা প্রকাশ করে বলেন, এই তদন্ত নিয়ে তাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সিও এনজিও টাকা দিয়ে সব কিনে নিচ্ছে। ফলে তারা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শংকায় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহের সিও এনজিওর বিরুদ্ধে চাকরি প্রদানের নামে খোলা চেক ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে মামলা করার গুরুতর অভিযোগ রয়ছে। এ নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার খবর প্রকাশিত হলেও সিও এনজিও বহাল তবিয়তে শত শত মামলার জালে আটকিয়ে সাবেক কর্মীদের জেলে ভরছেন ও কোটি কোটি টাকা আদায় করছেন। এ নিয়ে গত ২১ মার্চ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে নির্যাতিত ব্যক্তিরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, সিও এনজিও কর্তৃপক্ষ গাইবান্ধার সুই গ্রামের এবিএম মাহবুবুর রশিদ, শৈলকূপার চণ্ডিপুর গ্রামের সাবিনা ইয়াসমিন, মেহেরপুরের আমদহ গ্রামের আমিরুল ইসলাম, যশোরের রবিউল, কুষ্টিয়ার শওকত আলী, একই জেলার গৌরাঙ্গ কুমার, কালীগঞ্জের আশিক, পাবনার সুবর্ণা খাতুন, সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, শৈলকূপার মাহমুদ ও মহেশপুরের রুপা খাতুনসহ সহস্রাধীক ব্যক্তির নামে মিথ্যা চেকের মামলা করে হয়রানী করছেন। তবে সিও এনজিওর নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম বরাবরই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করে আসছেন।

তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম জানান, আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে সবকিছু জানাতে পারবো।

(একে/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০২৪)