গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে গোপালগঞ্জে দুটি পরিবারের বাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে। এতে ওই দুই পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের কামারোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সমাধান মেলেনি।

গত এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটছে পরিবার দুইটির। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পুরবার ২টির শিক্ষার্থীরা। বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে পড়েছে বিপাকে। কোন মতে পাশের একটি সরু পথ দিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা।

বাঁশের বেড়া অপসারণ করে চলাচলের পথ স্বাভাবিক করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা ।

অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষ শত বছর আগে এখানে বসবাস শুরু। সেই থেকে পথটি চলাচলে ব্যবহার হয়ে আসছে। জমি নিয়ে দ্ব›েদ্ব গত ১২ এপ্রিল প্রতিবেশি নিয়াম শেখ, মুরসালিন শেখ, রিয়াজ শেখ আমাদের বাড়ির প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দিয়ে কলা ও কচু গাছ লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও কোন সমাধান পাইনি। আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে পথের ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

অপর সদস্য জোৎস্না বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ প্রতিবেশিরা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া আমার বিল্ডিং ঘেঁষে নালা খুড়ে রেখেছে। যাতে আমরা চলাচল করতে না পারি। এতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি আমার জায়গা ভেঙে যাচ্ছে।’

এ বিষয় প্রতিবেশী মুরসালিন শেখের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ওখানে কোন পথ ছিল না। আমরা আমাদের জায়গায় বেড়া দিয়েছি। উল্টো প্রতিপক্ষরা আমাদের জায়গা জড়িয়ে ঘর তুলেছে। এমনকি আমাদের গায়েও হাত তুলেছেন তারা। যে কারণে আমরা বেড়া দিয়েছি। ওখানে আমরা বসতঘর তুলবো।’

ওড়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বদরুল আলম বিটুল বলেন, ‘চলাচলের পথ বন্ধের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যারা পথ বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের ওই জমি রেকর্ডীয় সম্পত্তি। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুজ্জামান সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আপনাদের ( সাংবাদিকদের) মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(এমএস/এএস/এপ্রিল ২০, ২০২৪)