মাগুরা প্রতিনিধি :মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫৪টি পদের মধ্যে ৩৫টি পদই শূন্য রয়েছে। ফলে ভেঙে পড়েছে এখানকার স্বাস্থ্যসেবা।

দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা অব্যাহত থাকলেও এটির সমাধানে কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমান কর্মরত পদের বিপরীতে আরএমওসহ ৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, একজন প্রধান সহকারি, ২ জন অফিস সহকারি, একজন ক্যাশিয়ার, একজন ষ্টোর কিপার, একজন পরিসংখ্যানবিদ, ৪ জন সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৭ জন স্বাস্থ্য সহকারি, একজন ডেন্টাল সহকারি, একজন রেডিও গ্রাফার, একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান, ২ জন ফার্মাসিষ্ট, ৪ জন এমএলএসএস, একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও ৪ জন সুইপারের পদসহ ৫৪টি পদের মধ্যে ৩৫টি পদ শূন্য রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা এ কারণে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছে। কোথাও সংকট স্বাস্থ্য উপকরণের, কোথাও এক্স-রে, ইসিজি ও অন্যান্য উপকরণের।

এখানে চিকিৎসা নিতে আসা সোনাতুন্দী গ্রামের কবির হোসেন, মহেশপুর গ্রামের গোলাম মওলা, চৌগাছী গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না। তাদের হাসপাতালের বাইরের ওষুধ সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হাসপাতালে ৯ জন ডাক্তারের মধ্যে ৫ জন ডাক্তার দায়িত্বে থাকলেও তারাও ঠিকমত কাজ করছে না। এ অবস্থার দ্রুত সমাধান করা না গেলে এ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা চরম হুমকির মুখে পড়বে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঘুরে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৫০ শয্যার নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানে কর্মকর্তা কর্মচারী সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবার কাজ বিঘিতœ হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতের কাজ শেষ হলে এখানে জনবল বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান হবে কিনা তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস জানান, বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলাতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে এ জেলায় দীর্ঘদিন যাবত নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এরপরেও এ সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।


(ডিসি/এসসি/নভেম্বর১৮,২০১৪)