আব্দুস সালাম বাবু, বগুড়া থেকে : চাহিদা ও  দাম বেশি হওয়ায় বগুড়া অঞ্চলের চাষিরা ভুট্টা চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। এ কারণে ভুট্টা চাষের জমি বৃদ্ধির সাথে উৎপাদনও বেড়েছে।

বগুড়ায় চলতি বছর ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর। চাষাবাদের বিপরীতে ফলন ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ভুট্টা চাষে চাষিরা লাভবান হওয়ায় গত বছরের চেয়েও ভুট্টা আবাদ বেড়েছে। এত অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়ায় ভূ্ট্টা আবাদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা।

জেলার ভুট্টা চাষে উন্নতজাত ব্যববহার করার কারণে বগুড়ায় ভুট্টার ফলনও হয় বেশি পাওয়া যায়। কৃষি অফিস বলছে ২০১৩ সালে জেলায় মোট ফলন হয়েছে ৭ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৩ হাজার ১৫৩ মেট্রিক টন বেশি।

চলতি বছরে জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১ হাজার হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।

চাষিরা উন্নতজাতের ভুট্টার চাষাবাদ করায় ফলন বেড়েছে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেলায় বেশি ভুট্টার চাষাবাদ হয়ে থাকে শেরপুরে, নন্দীগ্রাম ও ধুনটে। ভুট্টা চাষে খরচ যেমন কম, অন্যদিকে ফলন এবং লাভও বেশি। একারনে চাষিদের মাঝে ভুট্টার চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

শেরপুর উপজেলা সদরের স্যান্নালপাড়ার চাষি মোবারক আীল জানান, গত বছর ভুট্টা বিক্র করে লাভের মুখ দেখা গেছে। এবারও ফাওয়া যাবে। ভুট্টা চাষের পর ভুট্টার শুকনা গাছ ও ভুট্টা মাড়ায়ের পর তা জ্বলানি হিসেবে বাজারে বিক্রি করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

নিতু সরকার জানান, গত বছর ভুট্টার ভাল ফলন পাওয়া গেছে। প্রতি বিঘায় ২৪ থেকে ২৭ মন ফলন পাওয়া গেছে। উন্নতজাতের ভুট্টার ফলন পাওয়া গেছে ২৯ থেকে ৩০ মন করে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভূট্রার জমিতে পানি সেচ কম দিতে হয়। সেচ সুবিধার কারনে এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান আবাদের চেয়ে ভুট্টার আবাদ বেশি করে থাকে।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক চন্ডী দাস কুন্ডু জানান, গত বছর জেলায় ভাল ভুট্টার ফলন পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও ভুট্টার ভাল ফলন পাওয়া যাবে।

(এএসবি/এসসি/নভেম্বর১৮,২০১৪)