স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সমন জারির ঘটনাকে দুরভিসন্ধিমূলক হিসেবে অভিহিত করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার এক নিকৃষ্ট অপকৌশল।

মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের দলের পক্ষে এ অভিযোগ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ৭ নভেম্বর লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকবন্ধু আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্টে দেশে ফিরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং এ কারণে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক মনির খান সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তারেক রহমানকে আগামী ১০ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের ও এই কারণে সমন জারি গভীর ষড়যন্ত্র। দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে নোংরা চালের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তার (তারেক রহমান) বিরুদ্ধে সমন জারি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হলেও সরকারের কু-কীর্তি সম্পর্কে জনগণ যা জানার তা জেনে ফেলেছে।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা ও সমন জারির ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করেন, বর্তমান অবৈধ সরকার যখনই পলায়মান অবস্থায় পড়ে তখনই তারা দুষ্কর্মের গতি আরো বৃদ্ধি করে। আত্মমর্যাদা ও সম্মানবোধের তোয়াক্কা না করে অবলীলায় মিথ্যাকে সত্য বলার চেষ্টা করে।

বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চিরস্থায়ী দখল ও নৈরাজ্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অনাচারের শিকড় গজিয়ে ডালপালা বিস্তার করেছে। সে জন্য জাতীয়তাবাদী শক্তিকে তাদের অবাধ দুর্বৃত্তপনার সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করে। আর এর ক্ষোভের অভিমুখ হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ‘ছাত্রলীগ ও নির্বাচন’ নিয়ে করা বক্তব্যে সরকারের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকারের ‘প্রতারণামূলক কার্যকলাপ’ যখন প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত লোকদের মুখ থেকেই ফাঁস হয়ে হয়ে যায়, তখন তারা আরো আবোল তাবোল কথা বলে জনগণের ঠাট্টার পাত্রে পরিণত হয়। এইচ টি ইমামের মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বক্তব্য ধামাচাপা দিতে তিনি এখন উদ্ভট কথাবার্তা বলছেন বলেও মন্তব্য করে তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদ, অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

(ওএস/এইচআর/নভেম্বর ১৮, ২০১৪)