লোহাগড়ার পল্লীতে ডাকাতি, আটক ২
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পল্লীর দু”বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে ওই দু পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
ডাকাতির মালামাল ভাগ বটোরা করার সময় এলাকাবাসী দুজন ডাকাত কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার লোহাগড়া ইউপির কামঠানা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য ইদ্রিস মোল্যার বাড়িতে ৬/৭ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে বাড়ির গ্রীলের জানালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এ
সময় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২০ হাজার টাকা সহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এর পর ওই ডাকাত দল পার্শ্ববতী আড়িয়ারা গ্রামের কাজী বিক্্রসের দুটি অফিস রুম ভেঙ্গে কাগজ পত্র তছনছ করে। এরপর ডাকাত দল বেলটিয়া গ্রামের রসুল শেখ ও আলিনুর শেখের বাড়িতে হানা দিয়ে একই কায়দায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোনসহ মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
ভোর রাতে জয়পুর ইউপির চাচই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে ডাকাতির মালামাল ভাগ বটোরা করার সময় এলাকাবাসী ডাকাত দলকে ধাওয়া করে নিশাত (২৮) ও জাকির হোসেন (২৭) কে আটক করলেও বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এসময় এলাকাবাসী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার কুশলা গ্রামের হালিম মোল্লার ছেলে নিশাত ও শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার উত্তর ফের নগর গ্রামের হুকুম মোলার ছেলে জাকির হোসেন কে গণ ধোলাই দিয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুবাস বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটক ডাকাতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
(আরএম/এসসি/নভেম্বর১৮,২০১৪)