নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ওহিদুর ইসলাম (৪৫) ও তার ছোট ভাই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম শাহিনের (৩৮) খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে শহরে এক শোক র‌্যালী বের করা হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাছিম আহম্মেদ নাছিমের নেতৃত্বে র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। এদিকে দায়ের করা মামলার আসামীদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত ৮ জনকে মঙ্গলবার সকালে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়। আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আসামীরা হলো, ওই গ্রামের আব্দুর রহমান, মহাতাব আলী, রিপন, আফতাব, মুক্তার, লোকমান, এরশাদ ও মোতালেব।

বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আফজাল হোসেন নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে নিহত ওহিদুর ও শাহিন দুই সহোদরের বাড়ি চকপাঁচি গ্রামে চলছে শোকের মাতম। তাদের বাড়িতে কান্নার রোল চলছেই। মঙ্গলবার সকালে শোকার্ত লোকজন প্রতিপক্ষের ওসমান, বজলু ও মাহবুবের ৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালিয়েছে। ঘটনার পর থেকে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামের এজাহারভুক্ত আসামীরা কেউ কেউ স্বপরিবারে পালিয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ওই গ্রামে একটি গভীর নলকুপকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে খুনোখুনি, সংঘর্ষ মারামারি লেগেই থাকে।

মামলা পাল্টা মামলাও হয় থানায় ও আদালতে। এরই জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে এলাকাবাসীদের সুত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের দীর্ঘদিনের এই বিরোধকে জিঁইয়ে রেখে ফায়দা লুটছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা নামধারী এক ব্যক্তি। এই জোড়া খুনের (দুই সহোদর) নেপথ্যে তার ভুমিকা রয়েছে বলে এলাকায় জোড়ালো কথা উঠেছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। তবে পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারনা, দুই সহোদর হত্যাকান্ডে ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করা হতে পারে। আর এক্ষেত্রেও সন্দেহের আঙ্গুলি ওই নেতার দিকেই।

(বিএম/এএস/নভেম্বর ১৮, ২০১৪)