যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুরের জোঁকার মাঠের ধান ক্ষেত থেকে গত ২ মে একজন অজ্ঞাত পরিচয় পুরুষ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মেসকাত (৪১)। সে পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানাধীন শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই এরশাদ আলম বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় ৩ মে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৪ মে রাতভর সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ও সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গ্রেফতার হন ভাড়াটে মহিলা কিলারসহ ২ জন।

আটককৃতরা হলেন- সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা এলাকার চুন্নু গাজীর মেয়ে মোছাঃ রিক্তা পারভীন (৩০) ও আশাশুনির নৈকাটি এলাকার মৃত কাজেম সরদারের ছেলে নিজাম সরদার (৬০)।

এসময় হত্যার মিশনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ ভিকটিমের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন, ১টি স্বর্ণের চেইন, কন্ঠ চিক ও ১ জোড়া কানের দুল জব্দ করা হয়।

যশোর ডিবি অফিস সুত্রে জানা গেছে, নিহত মেসকাত যশোর পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইচ মিলের শ্রমিক ছিলেন। মিলের আরেক কর্মচারী সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারের মেয়ে নাজমার সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক হয়। স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। ভিকটিম মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা পরকীয়া প্রেমিকা নাজমাকে মোবাইলে গালমন্দ করায় নাজমা বিদেশ থেকে মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক রিক্তা পারভীনের সাথে ২ লাখ টাকা চুক্তি হয়। পরবর্তীতে রিক্তা তার পরকীয়া প্রেমিক শাহীন ড্রাইভারের মাধ্যমে কৌশলে সাতক্ষীরার আশাশুনির বুধহাটায় ডেকে আনে। পথিমধ্যে চেতনা নাশক খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করে। এরপর মনিরামপুরের জোকার মাঠে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে দেয়।

(এসএ/এসপি/মে ০৪, ২০২৪)