স্টাফ রিপোর্টার : সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা এতদিন বলে আসছি, বাংলাদেশ কখনও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি; ঋণ খেলাপির পরিস্থিতি সৃষ্ট হয়নি। সেই অহংকারে চিড় ধরেছে। বাংলাদেশের আমদানি করা জ্বালানির দায় সময়মতো পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ডলার সমস্যায় বিদেশি বিনিয়োগের মুনাফা পাঠানো ব্যহত হচ্ছে।

রবিবার (৫মে) হোটেল লেকশরে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম সিটিজেন প্লাটফর্ম ফর এসডিজিএস আয়োজিত ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংলাপে মূল প্রবন্ধে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠান বক্তব্য দেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তািফজুর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

দেবপ্রিয় বলেন, অর্থনীতিতে তিন সমস্য যুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো- প্রথমত, উচ্চ মূল্যস্ফীতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। সরকারের নানা চেষ্টার পরও কোনো ফল আসেনি, মূল্যস্ফীতি কমানো যায়নি। দ্বিতীয়ত, দেশে অভ্যন্তরীণ ঋণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক যে ঋণ রয়েছে, অভ্যন্তরীণ ঋণ তার দ্বিগুণ। এটা আরও বড় সমস্যা ডেকে নিয়ে আসবে। তৃতীয়ত, প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে, আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, এই তিন সমস্যা আগামীত বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে।

বিশেষ সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে শিল্পপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একে আজাদ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কিন্তু জবাবদিহিতা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকলে, দুর্নীতি রোধ না করা গেলে এই ভালো উদ্যোগ ব্যহত হবে।

কোভিড-১৯ এর আগে অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় ছিল, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আট শতাংশে উঠেছিল। করোনা মহামারি, যুদ্ধ পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবে অর্থনীতিতে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতির এ সব দুর্বলতা স্বীকার করে উত্তরণে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেন্টার ফট পলিসি ডায়ালগের (সিপিবি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

(ওএস/এসপি/মে ০৫, ২০২৪)