স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়ন দুঃশাসনে দেশ আজ ধ্বংসের কিনারে উপনীত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারো একদলীয় শাসনের অন্ধকার গুহায় দেশকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৪৯তম জন্মবার্ষিকীতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন তারেক রহমান। তৃণমূলে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য তার হাঁস মুরগী-ছাগল বিতরণের কর্মসূচি আজও দেশবাসী ভুলে যায়নি। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে পারলে তারা জাতীয় উন্নয়নে অংশীদার হতে পারবে এই বিশ্বাসেই তিনি দেশের সব জনপদে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তার এ্ই প্রচেষ্টা সমাজে পিছিয়েপড়া মানুষের মধ্যে জাতীয় উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে নিজেকে অংশীদারভাবার বোধ জাগ্রত হয়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনে তারেক রহমানকে নিঃশেষ করার জন্য মামলা, শারীরিক নির্যাতন থেকে শুরু করে ক্রমাগত অপবাদের ধারা বর্ষণ চালানোর পরও তাকে বিচলিত করতে পারেনি।

তিনি বলেন, যাদের আন্দোলনের ফসল ছিল ১/১১ সরকার তারা ক্ষমতায় এসেই তারেকের বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্তে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। মামলার পর মামলা দিয়ে তাকে পর্যুদস্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় আওয়ামী সরকার। তবুও তারেক রহমানের প্রত্যয়দৃঢ় বিশ্বাসকে তারা দুর্বল করতে পারেনি। এখনো দুঃশাসনের হুমকি প্রতিদিনই তার ওপর বর্ষিত হচ্ছে। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা অবিরাম কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে গেলেও তারেক রহমানকে তার বিশ্বাস ও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি।

বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, এই মুহূর্তে তারেক রহমানের অটুট মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে। আমি তার আশু সুস্থতা এবং সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৯, ২০১৪)