রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রামগঞ্জ উপজেলার ২নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মৃত আ. রশিদের ছেলে মো. আলমের নেতৃত্বে তার ভাই মো. সেলিম, মো. লুৎফর রহমান, মন্টু মিয়া আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয়ে নিজ বাড়ির সামনে পানিয়ালা-আশারকোটা সরকারি খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।

খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মান করায় স্থানীয় এলাবাবাসী বাঁধা প্রদান করলে মো. আলম তার ভাইসহ নিজেদেরকে কথিত আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে সরকারি নিয়ম-নীতির কোন তোয়াক্কা না করে সরকারি খালের উপর ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। এতে করে ওই অবৈধ স্থাপনার দু’পাশে সরকারের এলজিআরডি কতৃক নির্মাণকৃত ২টি ব্রীজের নিচ দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের পানিয়ালা-আশারকোটা সরকারি খালের চৌধুরী বাড়ির সামনে সরকারি সকল নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে মো. আলম তার ভাইসহ জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তহশিলদার আবদুস ছাত্তার আশার কোটা ১০৫ নং মৌজার ১০২০ হালদাগ সরকারি বলে ভবন নির্মাণ না করার জন্য মো. আলমকে নোটিশ প্রদান করলে সে ওই নোটিশকে উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ অব্যাহত রাখে। পরে তহশিলদার আ. সাত্তার গত ৯ নভেম্বর ২০১৪ইং তারিখে ১৩৭নং স্মারকের আলোকে লিখিত ভাবে রামগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক আশারকোটার ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে অবগত করলেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি।

সৃষ্ট ঘটনায় ২নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাবেদ হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে আলম ও তার ভাইয়েরা যা করছে এটা ঠিক নয়। সরকারি খালে স্থাপনা নির্মাণ আইনপরিপন্থী। আর স্থাপনা নির্মাণের জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতা অনুমতিও দেয়নি এবং দিবেও না এটা আমার বিশ্বাস। আর আওয়ামীলীগ কোন অন্যায় কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয়না।

এ ব্যাপারে স্থাপনা নির্মাণকারী মো. আলম ও তার ভাই মো. সেলিম জানান, এই স্থাপনা নির্মাণ করে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করবো । আমাদেরকেতো ব্যবসা-বাণিজ্য করে খেতে হবে। আর স্থাপনাটি আমি আমাদের দলের বড় লিডারদের সাথে আলোচনা করে তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছি। কোন সমস্যা হবেনা আশা করি। সরকারি খালের উপর স্থাপনা নির্মাণ বৈধ কিনা এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, ভাই আমরা রামগঞ্জে এসে আপনার সাথে দেখা করবো।


এ ব্যাপারে তহশিলদার আ. সাত্তার জানান, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ১০৫ নম্বর আশারকোটা মৌজার ১০২০ হালদাগ মোতাবেক এটা সরকারি সম্পত্তি। অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য আলম ও তার ভাইদের আমি নোটিশ করেছি। পরে আলম আমার নোটিশকে অমান্য করায় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছি।

রামগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, পানিয়ালা-আশারকোটা খালের উপর নির্মাণকৃত অবৈধ স্থাপনাটির ব্যাপারে আমার নলেজে আছে। এটি উচ্ছেদ করা সময়ের ব্যাপার। যে কোন মুর্হুতে উচ্ছেদ কার্যকর করা হবে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম জানান, সরকারি খালে স্থাপনা নির্মাণ বেআইনী। স্থাপনাটি উচ্ছেদের জন্য আমাদের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তহসিলদার লিখিতভাবে জানিয়েছে। এখন জেএসসি পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে যে কোন মুর্হুতে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

(এমএএইচ/এএস/নভেম্বর ১৯, ২০১৪)