স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমদাদ হোসেনসহ পাচ জনকে চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সিএমএম আদালত।

বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার আসামীদের সিএমএম আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডকৃত আসামীরা হলেন , বাংলাদেশ বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমদাদ হোসেন, প্লানিং ও সিডিউলিং বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ আসলাম শহীদ, শিডিউলিং ম্যানেজার মো. তোজাম্মেল হোসেন, উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদ ও বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ও বসুন্ধরা এলাকা থেকে স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন বলে সন্দেহে এদের গ্রেফতার করা হয়।

গত ১২ নভেম্বর বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে দুই কেজি ৬০০ গ্রাম সোনা উদ্ধারের পর মাজহারুল আফসার নামের এক কেবিন ক্রুকে আটক করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে তার দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

রিমান্ড প্রতিবেদনে বলেন মূলত শফিউল আজম নামের এক ব্যক্তি দুবাই থেকে চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ওই সোনাগুলো ঢাকায় পাঠিয়েছেন। আর পলাশ এ কাজের সমন্বয় করতেন। টাকা লেনদেন হতো হারুন অর রশিদের মাধ্যমে। অবৈধ সোনার চালান কাস্টমস পার করতে বিমানের ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হতো।

তদন্তে বিমান বালা থেকে শুরু করে বিমানের বিভিন্ন পর্যায়ের অনেকের নাম এসেছে। এগুলো যাচাই করা হচ্ছে। পলাশের স্ত্রী নিজেও একজন বিমানবালা। বিমানবন্দরে অনেকগুলো সংস্থা কাজ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগ, পুলিশ বাহিনীর কেউ জড়িত আছে তাদের নাম ঠিকানা জানার জন্য আসামীদের দশ দিনের নিমান্ড প্রয়োজন।

দুবাইয়ে স্বর্ণ কেনায় বিধি-নিষেধ নেই। এ কারণে সেখান থেকে স্বর্ণ কিনে চোরাইপথে বাংলাদেশে পাচার করা হয়। বাংলাদেশ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং স্বর্ণগুলোর মূল গন্তব্য থাকে পাশের দেশগুলো।

বিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালান আটক ৫


(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৯, ২০১৪)