আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দেশের কৃষি ভান্ডার এলাকা হিসেবে খ্যাত বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বর্তমান বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। মৌসুমের শেষ দিকের বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগাম চাষের দিকে চাষিরা ঝুকে পরেছেন বলে জানায় কৃষি অফিস।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ইরি-বোরো চাষে ৯হাজার ৪শ ৭৭হেক্টর জমি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫হাজার ৩শ ৭৭হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৪ হাজার ১শ হেক্টার জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

হাইব্রিডে ২৫ হাজার ৩শ ৭১মে.টন চাল এবং উফষীতে ১৫হাজার ৮শ ৬৭মে.টন চালসহ সর্বোমোট ৪১হাজার ২শ ৩৮মে.টন চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যেই চাষিরা আগাম চাষে ১ হেক্টরের বেশী জমিতে বোরো চারা রোপন করেছন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে, পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, সার, বালাই কীটনাশক সময়মতো পেলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ চাষিদের সেবা দিতে তারা মাঠে সব সময় তদারকি করে আসছেন।
তিনি আরও জানান, ইরি-বোরো ছাড়াও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যেই কৃষি অফিস লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত লক্ষমাত্রায় ১০ হেক্টর জমিতে গম চাষে ১৪ মে.টন উৎপাদন, ২হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষে ১৪মে.টন, ৫হেক্টর জমিতে আলু চাষে ৯৮ মে.টন, ৪০হেক্টর জমিতে সরিষা চাষে ৪৬মে.টন উৎপাদন, ১০হেক্টর জমিতে তিল চাষে ৯ মে.টন, ২শ ৬০হেক্টর জমিতে শাক সবজি চাষে ৫হাজার ৭০মে.টন উৎপাদন, ৭০হেক্টর জমিতে খেসারী চাষে ৭৭মে.টন, ১০হেক্টর জমিতে মসুর চাষে ১৩মে.টন, ২০হেক্টর জমিতে মুগ চাষে ২০মে.টন, ৫হেক্টর জমিতে ফেলন ডাল চাষে ৬ মে.টন, ১৫হেক্টর জমিতে মরিচ চাষে ২২মে.টন, ১হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষে ১০মে.টন, ৫হেক্টর জমিতে হলুদ চাষে ১শ মে.টন, ২০হেক্টর জমিতে ধনে চাষে ২৩মে.টন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রদর্শনী প্লটের জন্য ১শ জন চাষিকে গম বীজ, ১শ জনকে ভুট্রা ও ৩৫ জনকে ফেলান ডাল বীজ ও সারসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

এবছর পানি কম হওয়ায় জমিতে আগাছার পরিমান বেশী হওয়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। তবে সবকিছু মিলয়ে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

(টিবি/অ/নভেম্বর ২১, ২০১৪)