হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামে স্কুলপড়ুয়া মেয়ের সামনে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে দেলোয়ারা বেগমকে (৩৫) প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে একই ইউনিয়নের দেবীপুরের বাবুল মিয়ার কাছে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে আসে ৪টি সন্তান। সম্প্রতি আর্থিক অনটনের কারণে বাবুল মিয়া কিছুটা মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। বুধবার সকালে তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম স্বামীকে নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বাড়ি ফিরে আসে। দেলোয়ারা সন্ধ্যায় তার শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে বাবুল মিয়া ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী দেলোয়ারার গলায় কয়েকটি কোপ দেয়। মায়ের চিৎকার শুনে উঠোনে থাকা তার মেয়ে দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রিমা আক্তার ঘরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত মায়ের ছটফট দেখে চিৎকার শুরু করে।

এ সময় আশপাশের লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় পথে দেলোয়ারা মারা যায়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল বাছেদ ঘটনাস্থলে যান। নিহত দেলোয়ারা বেগমের মেয়ে রিমা জানায়, আব্বা আম্মার মধ্যে কোন ঝগড়া হয়নি। সিলেট থেকে এসে আম্মা ঘুমিয়েছিল। এ সময় আব্বা ঘরে ঢুকে আম্মাকে কুপাতে থাকে। আমি আম্মার চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে দেখি আম্মা ছটফট করছে। আমার চিৎকার শুনে আত্মীয়-স্বজনরা আসলে আব্বা পালিয়ে যায়।

মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল বাছেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

(পিডিএস/অ/নভেম্বর ২১, ২০১৪)