নওগাঁ প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁর মান্দায় ব্যবসায়ীকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার মিঠাপুর বাজারে ভটভটি দিয়ে পথরোধ করে মাইক্রোবাসসহ অপহরণকারী চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে গ্রামবাসী। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। এসময় অপহরণকারীদের হেফাজত থেকে অপহৃত কাপড় ব্যবসায়ী বজলুর রশিদকে (৩৫) আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নারায়নগঞ্জের চাঞ্চল্যকর অপহরন ও খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নওগাঁয় ব্যবসায়ী অপহরনের এই ঘটনা জেলা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মান্দা থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক জানান, মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারের বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরের মালিক বজলুর রশিদ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে দোকান থেকেনিজবাড়ি রামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। এসময় অপহরনকারীরা ফকিরপাড়া ঈদগাহ মাঠের কাছে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস দিয়ে বজলুর রশিদের পথরোধ করে তাকে জোড় করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাঁজরভাঙ্গা হয়ে নওগাঁ শহরের দিকে যাবার চেষ্টা করে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাদের পিছু ধাওয়া করে। দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মিঠাপুর বাজারের লোকজন রাস্তায় ভটভটি দিয়ে বেরিকেড দিয়ে ১১ অপহরণকারীকে আটক করে।
অপহরণকারী দলের সদস্যরা হলো, নওগাঁ সদর উপজেলার চকপ্রাচী গ্রামের ফারুক হোসেন, বেলাল হোসেন, শৈলগাছি গ্রামের কাজল হোসেন, সুজন হোসেন, হাসান আলী, ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আল আমিন, চোকখোপা গ্রামের নাসির উদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম এবং পত্নীতলা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের শামিম হোসেন ও রাব্বি এবং একই উপজেলার পাটিচরা গ্রামের মাইক্রোবাস চালক মেহেদী হাসান। এদের সকলের বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এব্যাপারে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
(বিএম/এএস/মে ০২, ২০১৪)