বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীকে অর্থের অভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে মা’ মাহাফুজা বেগমের আকুতি। লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান মাহাফুজা বেগম। আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে অনেক কষ্টে তিন ছেলে-মেয়ের পড়াশুনার খরচসহ সংসার চালিয়ে আসছেন। সহায়-সম্বল যা কিছু ছিল সবই স্বামীর চিকিৎসায় ব্যয় করেছেন। অনেক কষ্টের মাঝেও সন্তানদের পড়াশুনার ব্যাপারে হাল ছাড়েননি। কিন্তু মাঝ পথে এসে এখন সন্তানদের পড়াশুনার খরচ যোগাতে হিম-শিম খাচ্ছেন। কীভাবে এখন তাদের পড়াশুনা করাবেন সে চিন্তায় দিশেহারা। এই  মুহূর্তে  মাত্র ১০ হাজার টাকার যোগার না হলে তার বড় সন্তান আব্দুর রহমান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হারাবেন। এঅবস্থায় সন্তানের ভর্তির ব্যাপরে কোন উপায়ান্ত খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।      

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্ণী গ্রামের মৃত আকবর আলীর স্ত্রী মাহফুজা বেগম হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রায় ১৪ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্টে লোকের বাড়িতে কাজ করে সন্তানদের পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছোট ছেলে নাঈম গোপালগঞ্জ পলিট্যাকনিক্যাল কলেজে পড়াশুনা করছে। এছাড়া মেয়ে খাদিজা আক্তার চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। বড় ছেলে আব্দুর রহমান এ বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তার ভর্তির শেষ তারিখ আগামী ২৭ নভেম্বর। এসময়ের মধ্যে আব্দুর রহমানের ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকার প্রয়োজন। মাহাফুজা বেগমের পক্ষে এই অর্থ কোন ভাবেই যোগার করা সম্ভব নয়। সন্তানের ভর্তির জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।

সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, চিতলমারী বাজার শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২৮৫/৩। মোবাইল-০১৯৬২৬৯৭২৭১।

(একে/অ/নভেম্বর ২২, ২০১৪)