সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সাপের আতঙ্কে হৃদরোগে মৃত্যুর প্রচার দেওয়া হয়েছে। ধর্ষক এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে হওয়ায় লাশ আটক রেখে ময়না তদন্তে বাধা দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের আবুল হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাদের গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে আসমা খাতুন তার ভগ্নিপতি দেবহাটা উপজেলার শ্রীরামপুর ঘোলের মোড়ের শাওন হোসেনের বাড়িতে থাকত। শাওন হোসেনের বাবা দেবহাটার কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।

বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় শাওন হোসেন তার বাগানবাড়িতে নিয়ে যায় শ্যালিকা আসমাকে। সেখানে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আসমাকে গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মারাত্মক অসুস্থ আসমাকে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে আসমার মৃতদেহ তড়িঘড়ি করে রইচপুরে তার বাপের বাড়িতে আনা হয়। ধর্ষক শাওন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

এ ব্যাপারে শাওন হোসেন তার শালিকা আসমাকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাপ দেখে ভয় পাওয়ায় বৃহষ্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সে মারা গেছে। পুলিশ তাকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক জানান, ভগ্নিপতি শাওনসহ কয়েকজন মিলে আসমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তারা রইচপুরে লাশ উদ্ধারে যান।

এ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে লাশ আনতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ওই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


(আরকে/এটি/মে ০২, ২০১৪)